ভগবান বুদ্ধ সারনাথে আষাঢ়ী পূর্ণিমায় ধর্মচক্র প্রবর্তন করেন। সে সময় পঞ্চবর্গীয় শিষ্যরা ভিক্ষুধর্মে দীক্ষা নেন। পরবর্তীতে যশ, সারিপুত্র, মৌদ্গল্যায়ন, উপালি, আনন্দ, অনুরুদ্ধ, সীবলী প্রমুখ ভিক্ষুধর্মে দীক্ষা নেন। তাঁরা সবাই থের উপাধি লাভ করেন। পটাচারা, কৃশা গৌতমী, অনোপমা, পূর্ণিকা, উৎপলবর্ণা, আম্রপালি ছিলেন থেরীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
যিনি প্রবীণ ও মার্গফললাভী তাঁকে শ্রাবকশিষ্য বলা হয়। যিনি বয়সে ও জ্ঞানে বড় তিনি থের নামে অভিহিত। মহিলা ভিক্ষুণীকে থেরী বলা হতো। শুধুমাত্র ভিক্ষুজীবন যাপন করলেই প্রকৃত থের বা থেরী হওয়া যায় না। যিনি সত্য, ন্যায়, সচ্চরিত্র, অহিংসা, সংযম প্রভৃতি নিয়ম পালন করেন তিনিই প্রকৃত থের বা থেরী। পালি ‘থের’ শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে স্থবির।
যারা গার্হস্থ্য জীবন যাপনকারী উপাসক-উপাসিকা তারা গৃহীশিষ্য। গৃহী শিষ্যদের মধ্যে রাজা বিম্বিসার, প্রসেনজিৎ, অজাতশত্রু, জীবক, সম্রাট অশোক, কণিষ্কের নাম উল্লেখযোগ্য ।
বুদ্ধের প্রধান সেবক ছিলেন আনন্দ। তাঁর পিতার নাম অমিতোদন। তিনি ছিলেন কপিলাবস্তুর রাজা শুদ্ধোদনের ভাই। মাতার নাম জনপদকল্যাণী। সদ্যোজাত শিশুর দর্শনে জ্ঞাতিগণ আনন্দিত হয়েছিলেন বলে তাঁর নাম রাখা হয় ‘আনন্দ'। সিদ্ধার্থ গৌতম যেদিন জন্মগ্রহণ করেন ঠিক সেদিন আনন্দও ভূমিষ্ঠ হন। খ্রিষ্টপূর্ব ৬২৩ অব্দের শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিই ছিল উভয়ের জন্মলগ্ন। বুদ্ধের ধর্ম প্রচারের কথা শুনে শাক্যকুমারদের অনেকে ভিক্ষুধর্ম গ্রহণে সংকল্পবদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে ভদ্দিয়, অনুরুদ্ধ, আনন্দ, ভৃগু, কিম্বিল অন্যতম। একথা শুনে দেবদহের রাজপুত্র দেবদত্ত এবং রাজকুলের নাপিত বংশধর উপালিও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। তখন বুদ্ধ অনুপ্রিয় আম্রকাননে অবস্থান করতেন। তাঁরা এক সঙ্গে বুদ্ধের নিকট ভিক্ষুধর্ম গ্রহণ করেন ৷
রাজপুত্র আনন্দ ছিলেন ক্ষৌরকার উপালির চেয়ে বয়সে বড়। বুদ্ধ জাতিভেদের বিপক্ষে ছিলেন। তাই তিনি উপালিকে সর্বপ্রথমে প্রব্রজ্যা দেন। বয়সে যত বড় হোক না কেন, যিনি আগে প্রব্রজিত হন, তাঁকে প্রণাম করতে হয়।
তখন বুদ্ধের কোনো ব্যক্তিগত সেবক ছিলেন না। তাই আনন্দ ৮টি শর্তে বুদ্ধের প্রধান সেবক নিযুক্ত হন। শর্তগুলো নিম্নরূপ :
১. বুদ্ধ নিজের প্রাপ্ত চীবর যেন তাঁকে না দেন ।
২. স্বীয় লব্ধ অন্ন যেন তাঁকে না দেন।
৩. গন্ধকুটির বিহারে যেন থাকতে না বলেন।
৪. বুদ্ধ তাঁর গৃহীত নিমন্ত্রণে যেন যান।
৫. নিমন্ত্রণে যেন তাঁকে নিয়ে না যান ।
৬. বুদ্ধের নিকট কেউ দেখা করতে চাইলে তিনি যেন দেখা দেন।
৭. যখন তাঁর কোনো বিষয়ে সন্দেহ হবে তখন বুদ্ধের নিকট যেন উপস্থিত হতে পারেন।
৮. তাঁর অনুপস্থিতিতে বুদ্ধ ধর্মদেশনা করলে তা যেন তাঁকে বলেন।
আনন্দ ছিলেন জ্ঞানী, পণ্ডিত, স্মৃতিধর। বুদ্ধের দেশিত বাণী তিনি স্মৃতিতে ধারণ করে রেখেছিলেন। তিনি প্রথম সংগীতিতে সমগ্র ধর্ম অর্থাৎ সূত্র ও অভিধর্ম আবৃত্তি করেছিলেন। তাঁরই একান্ত অনুরোধে মহাপ্রজাপতি গৌতমীসহ বহু শাক্যনারীকে ধর্মে দীক্ষা দিয়েছিলেন। তাই তিনি ধর্মভাণ্ডারিক নামে খ্যাত ছিলেন। বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণের পরও আনন্দ ৪০ বছর জীবিত ছিলেন। তিনি ১২০ বছর বয়সে পরিনির্বাণ লাভ করেন।
স্থবির অনুরুদ্ধের পূর্বজন্মের একটি সুন্দর কাহিনী আছে। তিনি পদুমুত্তর বুদ্ধের সময় এক ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুর পর বারাণসীর এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেন। তখন তাঁর নাম রাখা হয় অনুভার। সে সময় তিনি সুমন শ্রেষ্ঠীর বাড়িতে চাকরি করতেন। একদিন তাদের জন্য তৈরি সব খাদ্য একজন পচ্চেক বুদ্ধকে দান করেন। পচ্চেক বুদ্ধ তাদের আশীর্বাদ করলেন। শ্রেষ্ঠী সুমন অনুভারের নিকট পুণ্যভাগ দিতে অনুরোধ করলেন। অনুভার তাঁকে পুণ্যদান করলেন। এতে শ্রেষ্ঠী খুশি হয়ে তাঁকে অনেক টাকা পুরস্কার দিলেন।
একদিন শ্রেষ্ঠী সুমন রাজদর্শনে গেলেন। সাথে অনুভারও ছিলেন। এ সময় রাজা পুণ্যবান অনুভারকে এক হাজার টাকা পুরস্কৃত করেন। বাড়ি নির্মাণের জন্য জায়গা দিলেন। সে জায়গা আবাদ করার সময় মাটির নিচে অনেক টাকা পান। এজন্য রাজা তাঁর নাম রাখলেন ধনশ্রেষ্ঠী। তিনি যথাসময়ে দেহত্যাগ করলেন ।
মৃত্যুর পর ধনশ্রেষ্ঠী গৌতম বুদ্ধের সময় কপিলাবস্তু নগরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর নাম রাখা হয় অনুরুদ্ধ। পিতার নাম ছিল অমিতোদন শাক্য। দুঃখময় জীবনে তাঁর এ সুখ বেশিদিন ভালো লাগল না। তিনি সারিপুত্র স্থবিরের নিকট প্রব্রজ্যা গ্রহণ করলেন। তিনি সাধনা করতে লাগলেন। পরে বুদ্ধের ধর্মদেশনা শুনে অর্হত্বফল লাভ করেন।
দান দিলে পুণ্য হয়। পুণ্য প্রভাবে ইহ ও পরজন্মে ধন লাভ হয়। সৎকাজে ব্যয় করলে প্রভূত মঙ্গল সাধিত হয়। পুণ্যকর্ম পারমী পূরণে সাহায্য করে। অনুরুদ্ধ স্থবিরের জীবন সাধনা সকলের জন্য শিক্ষণীয়।
এ নারী পদুমুত্তর বুদ্ধের সময় হংসবতী নগরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার ছিল সম্ভ্রান্ত। তিনি প্রাপ্ত বয়সে বুদ্ধের উপদেশ শুনে আনন্দিত হলেন। তখন বুদ্ধ জনৈক ভিক্ষুণীকে ঋদ্ধিবান হিসেবে সর্বশ্রেষ্ঠ আসন দিয়েছিলেন। তা দেখে উক্ত নারীর ঐ পদ লাভের জন্য বুদ্ধ প্রমুখ ভিক্ষুসংঘকে সাত দিনব্যাপী দান দিয়েছিলেন। তিনি গৌতম বুদ্ধের সময় শ্রাবস্তীতে শ্রেষ্ঠীর কন্যারূপে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর দেহ নীল পদ্মের মতো ছিল। তাই তাঁকে উৎপলবর্ণা বলা হতো। প্রাপ্ত বয়সে সমগ্র ভারত থেকে তাঁর বহু বিবাহপ্রার্থী আসল। সকলের ইচ্ছা পূরণ করা সম্ভব নয়। তাঁর পিতা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি সংসার ত্যাগ করতে আগ্রহী কি না'? শ্রেষ্ঠীকন্যা উৎফুল্ল হয়ে বললেন, আমি এখনই প্রস্তুত। তিনি কন্যাকে ভিক্ষুণীধর্মে দীক্ষা দেওয়ার জন্য ভিক্ষুণীদের নিকট নিয়ে গেলেন। কন্যা সেখানে ভিক্ষুণী হলেন। পরে সাধনার বলে অর্হত্বফল লাভ করেন।
তারপর জেতবনের সংঘ সম্মেলনে বুদ্ধ তাঁকে ঋদ্ধিবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ আসন দেন। তিনি সাধনায় সিদ্ধিলাভ করে বহু গাথা ভাষণ করেন। গাথার একটি অনুবাদ নিম্নে দেওয়া হলো :
তৃষ্ণা মানুষকে শূলের মতো বিদ্ধ করে। তোমার কাছে যা ভোগের আনন্দ, আমার কাছে তা অল্পমাত্র ৷
তৃষ্ণার বশীভূত হলে মানুষের ক্ষতি হয়। তোমরা তা থেকে বিরত থাকবে। সৎকর্মেরত থাকবে।
বিপস্সী বুদ্ধের সময় পূর্ণিকা এক সম্ভ্রান্ত বংশে জন্মগ্রহণ করেন। বয়ঃপ্রাপ্ত হলে ভিক্ষুণীদের নিকট ধর্মোপদেশ শোনেন। পরে ভিক্ষুণী হন। নিয়মিত শীল পালন করতেন। ত্রিপিটক অধ্যয়ন করে বুদ্ধবাণী অনুশীলন করতেন। ফলে তিনি ধর্মের শিক্ষয়িত্রী হলেন। পরবর্তীকালে তিনি আরও পাঁচজন বুদ্ধের নিকট একই পদ লাভ করেন। এজন্য তিনি অভিমান করতেন। এ কর্মফলের দরুণ গৌতম বুদ্ধের সময় শ্রাবস্তী নগরে দাসীর গৃহে জন্ম নেন। তাঁর পিতা ছিল অনাথপিণ্ডিক শ্রেষ্ঠীর কৃতদাস। তাই তিনি দাসীকন্যা রূপে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু ধর্মোপদেশ শুনে স্রোতাপন্ন হন। পরে উদকশুদ্ধিক নামে এক ব্রাহ্মণকে উপদেশ দিয়ে বৌদ্ধধর্মে দীক্ষা দেন। ঐ ব্রাহ্মণ প্রতিদিন সকালে পুণ্য লাভের উদ্দেশ্যে গঙ্গা নদীতে স্নান করতেন। তাই পূর্ণিকা ব্রাহ্মণকে জিজ্ঞেস করলেন: ‘ব্রাহ্মণ, তুমি কেন নদীতে স্নান করছ'?
ব্রাহ্মণ বললেন, ‘পূর্ণিকা, আমি পাপকর্মের ফল মোচনের জন্য সৎকর্ম করছি'। স্নানশুদ্ধির দ্বারা পাপমুক্ত হয় তা তোমাকে কে বলেছে? যদি তাই হতো, তাহলে ব্যাঙ, কচ্ছপ, কুমির স্বর্গে যেত। স্নান করলে পুণ্য সঞ্চয় হয় না। পুণ্য সঞ্চয় করতে হলে দান, শীল, ভাবনায় রত থাকতে হয়।
একথা শুনে ব্রাহ্মণ বললেন: পূর্ণিকা, আমি কুমার্গে পতিত হয়েছিলাম। তুমি আমাকে আর্যমার্গ প্রদর্শন করেছ। আমি পূর্বে নামেমাত্র ব্রাহ্মণ ছিলাম। এখন আমি প্রকৃত ব্রাহ্মণ হলাম ।
এরূপ বলে ব্রাহ্মণ বুদ্ধ, ধর্ম, সংঘের শরণ গ্রহণ করলেন। শীল পালনে ব্রতী হলেন। উদকশুদ্ধিক ব্রাহ্মণের সুখ্যাতি সর্বত্র প্রচারিত হলো। তা শুনে অনাথপিণ্ডিক শ্রেষ্ঠী পূর্ণিকার পিতাকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দেন। পূর্ণিকা সংঘে প্রবেশ করে অচিরেই অর্হত্বফল প্ৰাপ্ত হন। তোমরাও আর্যমার্গ অর্থাৎ আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের অনুশীলন করবে। সৎকর্মে নিজের জীবনকে গড়ে তুলবে। তাহলে সুখী হতে পারবে।
বুদ্ধের সময় মগধ ও কোশল— এ দুটি রাজ্য শক্তিশালী ছিল। বিম্বিসার মগধের এবং মহাকোশল কোশলের রাজা ছিলেন। রাজা বিম্বিসার মহাকোশলের কন্যাকে বিয়ে করেন। কন্যার বিয়ের সময় মহাকোশল বিম্বিসারকে কাশীগ্রাম উপহার দেন। অজাতশত্রু ছিলেন বিম্বিসারের পুত্র।
সিদ্ধার্থ গৌতম গৃহত্যাগ করে প্রথমে মগধে যান। তখন রাজা বিম্বিসারের সাথে তাঁর দেখা হয়। বুদ্ধত্ব লাভের পর আগমন করবেন বলে সিদ্ধার্থ রাজাকে কথা দিয়েছিলেন। তাই বুদ্ধ সারনাথ থেকে রাজগৃহে গিয়ে বিম্বিসারকে দীক্ষা দেন ।
রাজা বিম্বিসারের স্ত্রী গর্ভবতী হন। রানি যথাসময়ে এক পুত্র সন্তান প্রসব করলেন । তাঁর নাম রাখা হলো অজাতশত্রু। রাজকীয় পরিবেশে ষোল বছর বয়সে তাঁকে যুবরাজরূপে অভিষিক্ত করলেন। পিতা বিম্বিসার অজাতশত্রুকে সিংহাসনে বসালেন। কিন্তু অজাতশত্রু পিতাকে বন্দী করে কারাগারেই রাখলেন। রাজা বিম্বিসার কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন।
বুদ্ধের প্রতি বিম্বিসারের প্রগাঢ় শ্রদ্ধা ছিল। তিনি বৌদ্ধধর্মে দীক্ষা নিয়ে ধর্মের কল্যাণ সাধনে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি ছিলেন সদ্ধর্মের একজন খাঁটি ধার্মিক উপাসক। তাঁকে অনুসরণ করে অনেক লোক তথাগত বুদ্ধের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। বুদ্ধ রাজগৃহের বেণুবন বিহারে ১৯ বর্ষা যাপন করেন। বুদ্ধের প্রথম ধর্মপ্রচার জীবনে রাজা বিম্বিসারের অবদান সব চেয়ে বেশি।
জীবক ছিলেন ভগবান বুদ্ধের চিকিৎসক। রাজকুমার অভয় ছিলেন তাঁর পিতা। মাতা ছিলেন শালবতী। কথিত আছে, শালবতী তাঁকে প্রসব করার পরই অরণ্যে ফেলে দেন। রাজকুমার অভয় তাকে নিজ গৃহে নিয়ে লালনপালন করেন। জীবক একদিন কুমার অভয়কে জিজ্ঞেস করলেন, বাবা, আমার মা কে? অভয় বললেন, বৎস, তোমার মা কে তা আমি জানি না। তোমাকে বনের মধ্য থেকে কুড়িয়ে এনেছি। আমি লালনপালন করেছি মাত্র। জীবক বুঝলেন, সে কুমার অভয়ের পুত্র নয়। তাই তিনি জীবিকা নির্বাহের জন্য আয়ুর্বেদশাস্ত্রে শিক্ষা লাভের জন্য তক্ষশিলায় গেলেন। তথায় একজন আচার্যের নিকট গিয়ে বললেন, “প্রভু, আমাকে আয়ুর্বেদ শিক্ষা দিন। জীবকের ব্যবহারে আচার্য মুগ্ধ হলেন। আচার্য খুশি হয়ে জীবককে বিদ্যাশিক্ষা দিতে লাগলেন। জীবক অল্প সময়েই শিক্ষা সমাপ্ত করেন।
একদিন আচার্য জীবককে বললেন, ‘আমি তোমাকে চার দিন সময় দিলাম। তুমি এ নগরের চারদিকে ঘুরে এস। কোন গাছটি ঔষধের কাজে লাগে না, তা এনে দেখাবে।' জীবক আচার্যের আদেশমতো নগরের চারদিকে ঘুরলেন। কিন্তু কোথাও কোনো গাছ দেখলেন না, যা ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত নয়। তিনি আচার্যকে একথা জানালেন। আচার্য বললেন, তোমার বিদ্যাশিক্ষা শেষ হয়েছে। আর কিছু করণীয় নেই। তুমি নিজ দেশে ফিরে গিয়ে কর্তব্য সম্পাদন কর।
জীবক দেশে ফেরার পথে সাকেত নগরে উপস্থিত হলেন। সে নগরে এক ধনী মহিলার শিরঃপীড়া ভালো করে অনেক টাকা পেলেন। রাজগৃহে ফিরে গিয়ে কুমার অভয়ের পুত্র হিসেবে বাস করতে লাগলেন। তিনি বুদ্ধের স্থায়ী চিকিৎসক ছিলেন এবং রাজবৈদ্য হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন ৷
১. সে সময় পঞ্চবর্গীয় শিষ্যরা ___ দীক্ষা নেন ৷
২. মহিলা ভিক্ষুণীদের ___ বলা হতো ।
৩. বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণের পরও আনন্দ ___ বছর জীবিত ছিলেন ।
৪. তাঁর দেহ নীল ___ মতো ছিল।
৫. সিদ্ধার্থ গৌতম ___ করে প্রথমে মগধে যান ৷
৬. তুমি এ নগরের ___ ঘুরে এস।
বাম | ডান |
---|---|
১. সে সময় পঞ্চবর্গীয় শিষ্যরা ২. তাই তিনি উপালিকে ৩. পচ্চেক বুদ্ধ তাদের ৪. একদিন শ্রেষ্ঠী সুমন ৫. এজন্য রাজা তাঁর নাম ৬. রাজা বিম্বিসার মহাকোশলের | ১. রাজদর্শনে গেলেন ৷ ২. আশীর্বাদ করলেন। ৩. রাখলেন ধনশ্রেষ্ঠী। ৪. কন্যাকে বিয়ে করেন। ৫. ভিক্ষুধর্মে দীক্ষা নেন । ৬. সর্বপ্রথম প্রব্রজ্যা দেন। ৭. গৃহত্যাগ করেন । |
১. দুইজন থের-থেরীর নাম লেখ ।
২. শ্রাবকশিষ্য কাকে বলে?
৩. বুদ্ধের প্রধান সেবক কে ছিলেন?
৪. পূর্ণিকা কোন বুদ্ধের সময় সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন?
৫. রাজা বিম্বিসার কার কন্যাকে বিয়ে করেন?
৬. জীবক আয়ুর্বেদশাস্ত্র শিক্ষার জন্য কোথায় গিয়েছিলেন?
১. আনন্দ স্থবিরের জীবনী আলোচনা কর ।
২. অনুরুদ্ধ স্থবিরের পূর্বজন্মের কাহিনীটি বর্ণনা কর ।
৩. উৎপলবর্ণার সংসার ত্যাগের কারণ লেখ। তিনি কীভাবে সাধনায় সিদ্ধি লাভ করেন?
৪. পূর্ণিকা কে ছিলেন? পূর্ণিকা ও উদকশুদ্ধিক ব্রাহ্মণের কথোপকথনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
৫. রাজা বিম্বিসারের জীবনী সংক্ষেপে আলোচনা কর।
৬. চিকিৎসাশাস্ত্রে জীবকের ভূমিকা আলোচনা কর ।
Read more